মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ‘একটি কুৎসিত ও অপমানজনক মৃত্যু’ থেকে রক্ষা করেছেন। শুক্রবার (২৭ জুন) ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ চলাকালে তিনি জানতেন খামেনি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী চাইলে তখনই তাকে হত্যা করতে পারত। তবে তিনি নিজেই সেই পরিকল্পনা বন্ধ করেন।—এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
ট্রাম্প লেখেন, “আমি তাকে খুবই অপমানজনক এক পরিণতি থেকে বাঁচিয়েছি।” যদিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এর আগে বলেছিলেন, খামেনির অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় তারা কোনো হামলা চালাননি।
ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরান যদি উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নির্দ্বিধায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাবে।
তিনি দাবি করেন, এক পর্যায়ে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু তিনি নিজেই যুদ্ধবিমান ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তা না হলে, “এটা হতো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হামলা।”
ট্রাম্প বলেন, “ইরান আজ একটি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দেশ, ধ্বংসপ্রাপ্ত সামরিক শক্তি, বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অধিকারী। তাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।” সেই সঙ্গে ইরানি নেতৃত্বকে উদ্দেশ করে বলেন, “ভিনেগার দিয়ে নয়, মধু দিয়েই বেশি কিছু অর্জন করা যায়।”
তিনি দাবি করেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন, কিন্তু খামেনির এক বক্তব্যে তার প্রতি ‘চড় মারার হুমকি’ ও বক্তব্যকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলা হলে তিনি সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন।
“আমি পেলাম শুধু ঘৃণা, রাগ আর অসম্মান… সঙ্গে সঙ্গেই আমি সব প্রচেষ্টা বন্ধ করলাম,” বলেন ট্রাম্প। তিনি আরও বলেন, “একজন ধর্মীয় নেতার মিথ্যা বলা উচিত নয়।”
ট্রাম্প খামেনিকে উদ্দেশ করে বলেন, “তুমি মার খেয়েছ। এখন সত্য বলা শুরু করো।”
এই প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও অপমানজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “যদি সত্যিই তিনি কোনো চুক্তি চান, তবে এই ভাষা বন্ধ করতে হবে।”
অন্যদিকে, এক ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেন, “আমেরিকার হামলা কোনো ফল আনেনি। তারা আবারও চড় খাবে।”