যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলাকে বাতিলের দাবি জানালেন। শনিবার (২৮ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প নেতানিয়াহুর প্রতি একগুচ্ছ সমর্থন জানিয়ে বলেন, “ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা ভয়াবহ।”
নেতানিয়াহুকে ‘যুদ্ধনায়ক’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “তিনি এমন একজন নেতা, যিনি ইরানের পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ে দুর্দান্ত কাজ করেছেন।” তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। “একজন প্রধানমন্ত্রীকে সারাদিন আদালতের কাঠগড়ায় বসিয়ে রাখার মানে কী?”—প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের দাবি, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়া ইরান ও হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করছে। “তিনি এখন হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য। এই সময় তাকে আদালতে বসিয়ে রাখাটা একেবারে অমূলক এবং একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র—যেমনটি আমার সাথেও ঘটেছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “এটা এক ধরনের উন্মত্ততা। নিয়ন্ত্রণহীন কিছু সরকারি কৌঁসুলির কর্মকাণ্ড এখন পাগলামিকে ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসরায়েলের নিরাপত্তায়। আমরা এ ধরনের অন্যায় আর সহ্য করব না। নেতানিয়াহুকে ছেড়ে দাও—তার সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ পড়ে আছে!”
এর আগেও গত ২৫ জুন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরদিন, ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া আরেকটি দীর্ঘ পোস্টে ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচারকে ‘উইচ হান্ট’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “আমি ভাবতেই পারি না, যিনি তার দেশকে এত কিছু দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কীভাবে দুর্নীতির মামলা চলতে পারে!”