25.7 C
Khulna
Tuesday, July 8, 2025

খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব

গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন শেখ হাসিনার মনোনীত ব্যক্তি, মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এই পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় লেখক, গবেষক ও জনপ্রিয় ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে “চুপ্পু আউট, কে হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি?” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। মাত্র তিন ঘণ্টায় ভিডিওটি দেখা হয়েছে চার লাখেরও বেশি বার। এতে পিনাকী বলেন, শেখ হাসিনাকে বিদায় দেওয়া সম্ভব হলেও তাঁর রেখে যাওয়া প্রভাব এখনো দেশ থেকে সম্পূর্ণ দূর করা সম্ভব হয়নি। এক বছরেও হাসিনার নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি এখনো বহাল—এটাই প্রমাণ করে, পরিবর্তন আংশিক হয়েছে, পূর্ণ নয়।

পিনাকী আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতার শেষ দিকে মুজিব বাহিনীর বাইরে কাউকে রাষ্ট্রপতির পদে বসাননি। চুপ্পু ছিলেন তারই একজন অনুগত ব্যক্তি। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের আগের এক ভিডিও দেখান, যেখানে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলছেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে সালাম করতে গেলে তিনি নিতেন না। আমি ভাবতাম, তাঁর চরণের ধুলাও যদি পেতাম!” পিনাকীর মতে, এমন মানসিকতাসম্পন্ন কেউ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে থাকাটা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বেমানান।

এই প্রেক্ষাপটে পিনাকী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নাম প্রস্তাব করেন। তাঁর ভাষায়, “বাংলাদেশে একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি আছেন যিনি এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন—তিনি বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক। তিনি শিখিয়েছেন অন্যায়ের সামনে কখনো মাথা নত না করতে।”

পিনাকী আরও উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন, “ওদের হাতে গোলামির জিঞ্জির, আর আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা।” এই মনোভাব ও নেতৃত্বই নাকি দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে প্রয়োজন।

শেষে পিনাকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বেগম খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস একসঙ্গে মিলে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবেন—একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের দিকে।

- Advertisement -spot_img

More articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ