ধামরাইয়ে একটি বিয়ে ঘিরে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হবু কনের নাচের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার জেরে শেষ মুহূর্তে বিয়ে বাতিল করে দেন পাত্রের বাবা।
জানা গেছে, কনে একজন কলেজছাত্রী। কিছুদিন আগে তার কলেজে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে তার নাচের ভিডিও কেউ একজন ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওটি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা সমালোচনা। গ্রামের অনেকেই বিষয়টি পাত্রের বাবার নজরে আনেন এবং কটাক্ষ করেন। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।
বিয়ের বিষয়ে কনের বাবার সঙ্গে পাত্রের বাবার ফোনে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। কনের বাবা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন। জবাবে পাত্রের বাবা সাফ জানিয়ে দেন, “আমাকে ফাঁসিতে ঝুলালেও চলবে, কিন্তু এমন যাত্রাপালার মেয়ে ঘরে আনব না। সব খরচ আমি দিয়ে দেব, তবু এই বিয়ে হবে না।”
এ বিষয়ে পাত্র বলেন, “আমি একজন শিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। আগামীকাল আমাদের বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর আমার বাবা রাজি হচ্ছেন না। বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি কিছুতেই মত বদলাচ্ছেন না।”
বিয়ে ভাঙার কারণ জানতে চাইলে পাত্রের এক প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ভিডিওতে দেখা গেছে কনে এমনভাবে নাচছে যা আমাদের এলাকার সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ কারণে অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ফলে হাজী সাহেব এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
এ বিষয়ে কনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি এবং বিষয়টি গণমাধ্যমে না প্রকাশের অনুরোধ জানান।
সকল পক্ষের ব্যক্তিগত অনুরোধে সংবাদে সংশ্লিষ্টদের নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।