27 C
Khulna
Friday, July 18, 2025

আমি সম্পূর্ণ সুস্থ, আমাকে নিহত বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ছাত্রলীগ’

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ):
“আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ। অথচ আমার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে ‘রমজান কাজী’ নামে আমাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে নিহত বলে প্রচার চালানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।” — এমনটাই বলেন জুলকার নাইম, যাকে গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত একজন হিসেবে চিহ্নিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো হয়েছে।

গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির (ন্যাশনাল কনফেডারেশন ফর পিপলস রাইটস) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। নিহতদের তালিকায় কোটালীপাড়ার ‘রমজান কাজী’ নামের এক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। কিন্তু সেই নাম ও পরিচয়ে ব্যবহার করা হয় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের আলী আক্কাস সরকারের ছেলে জুলকার নাইমের ছবি ও ভিডিও।

প্রচারের সেই ভিডিওটি ছিল ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া জুলকার নাইমের। বিভ্রান্তিকর এ প্রচার দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে কামারখন্দ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জুলকার নাইম বলেন, “আমার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার ছবি ও পরিচয় বিকৃত করে প্রচার চালানো হয়েছে, যা আমার নিরাপত্তা ও মান-সম্মানের জন্য হুমকিস্বরূপ। দায়িত্বশীল মহলের উচিত এ ধরনের মিথ্যা তথ্য যাচাই না করে প্রচার থেকে বিরত থাকা।”

তার বাবা মো. আলী আক্কাস সরকার বলেন, “আমার ছেলে সুস্থ ও নিরাপদে আমাদের সঙ্গে বাড়িতে আছে। অথচ তাকে নিয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিক ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যান্য অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সহিংস ঘটনায় নিহত বাকি তিনজন হলেন: গোপালগঞ্জ শহরের দীপ্ত সাহা, টুঙ্গিপাড়ার সোহেল রানা ও সদর উপজেলার ইমন তালুকদার। এদের নামও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা বলে অভিযোগ রয়েছে।

- Advertisement -spot_img

More articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ