জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলে আবু সাঈদের মৃত্যুর পর যেমন প্রতিটি মানুষ আবু সাঈদ হয়ে উঠেছিল, তেমনি আমাদের মৃত্যুর পরও কেউ না কেউ আবার নাহিদ হয়ে উঠে আসবে।”
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী শহরের এক নম্বর রেলগেট এলাকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “মুজিবের বুকের মাটির ওপর দাঁড়িয়ে গতকাল আমরা স্লোগান দিয়েছি—‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ।’ তারা ভেবেছিল, নাহিদ, সারজিস, আখতার, হাসনাত, নাসির—এরা কেবল কয়েকটি নাম। এদের হত্যা করলেই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারা ভুল করেছে।”
হাসনাত বলেন, “একটি দল গত ১১ মাস ধরে গর্তে ছিল। তারা গতকাল এই সময়ে অপেক্ষা করছিল—কখন আমরা মারা যাই। আরেকটি দল আছে যারা তথাকথিত জ্ঞানপাপী, যারা ঢাকায় বসে গোপালগঞ্জে আমাদের ওপর হামলাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে—শুধু আওয়ামী লীগ নয়, তাদের মিডিয়া ও কালচারাল উইংগুলোকেও প্রতিরোধ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেদিনই ঘুরে দাঁড়াবে, যেদিন এ দেশ থেকে সমূলে আওয়ামী লীগ নির্মূল হবে। গত ১১ মাস ধরে আমরা যে মিডিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছি, তারাও বারবার বলছে—আওয়ামী লীগকে আবার সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু গোপালগঞ্জে গতকালের ঘটনাই দেখিয়েছে—আওয়ামী লীগ কীভাবে ফিরে আসতে চায়, সেটারই একটি ‘টেস্ট ম্যাচ’ হয়েছিল।”
পথসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইয়েদ জামিল এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
এর আগে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে রাজবাড়ী শহরের বড়পুল এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। পদযাত্রাটি এক নম্বর রেলগেট এলাকায় এসে শেষ হয় এবং সেখানেই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।