26.8 C
Khulna
Wednesday, August 6, 2025

এনসিপির নিবন্ধনই নেই, বড় দল হিসেবে তাদের কীভাবে ডাকে সরকার: নুর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত একটি জনপ্রিয় সরকারের উচিত নিরপেক্ষ থাকা। কিন্তু সরকার যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট দলের দিকে হেলে পড়ে, তাহলে তাদের প্রতি জনসমর্থন হ্রাস পাবে এবং প্রশ্ন উঠবে—এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব কি না।

বুধবার (২৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

নুর বলেন, “সরকার যদি বিএনপির মতো বৃহৎ ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী দলের সঙ্গে আলোচনা করে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু চারটি দলকে ‘বড় দল’ হিসেবে বেছে নেওয়ার ভিত্তি কী? এর মধ্যে একটি দলের তো এখনো নিবন্ধনই নেই। সদ্য গঠিত এই দলকে নিয়ে সরকার কেন বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন আমরা তুলেছি।”

তিনি জানান, ১৩ দলীয় জোটের বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রায় সব দলই অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমে পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব দেখেছে বলে অভিযোগ করেছে। বিশেষ করে, এনসিপির প্রতি সরকারের অতিরিক্ত অনুকম্পার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন নুর। চট্টগ্রামে আইনজীবী চিন্ময় দাস হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আমরা নাগরিক হিসেবে আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম কী হতে যাচ্ছে। তাহলে নিরাপত্তা বাহিনী কেন পারলো না? তারা ব্যর্থ, অথবা তাদের সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে।”

নুর আরও বলেন, “পতিত স্বৈরাচারী শক্তি বিভিন্ন আন্দোলনে পৃষ্ঠপোষকতা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। “কমিশন কখনো কখনো এক-দুটি দলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা আগের সিদ্ধান্ত পাল্টে দিচ্ছে। এটা আশঙ্কাজনক। বৃহত্তর জনআকাঙ্ক্ষাকে পাশ কাটিয়ে যেন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, সে বিষয়ে আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “আমরা যেসব প্রত্যাশা নিয়ে গণঅভ্যুত্থনের পরে এই সরকারকে দেখেছিলাম, সেসব ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খেয়েছি। সরকারের জনপ্রিয়তা কিছু ক্ষেত্রে কমে গেছে, সরকারও সেটা বুঝছে।”

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে নুর বলেন, “বর্তমানে জনপ্রতিনিধি না থাকায় প্রশাসনের একক নিয়ন্ত্রণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, অন্তত প্রশাসনের সক্ষমতা যাচাই করতে হলেও ধাপে ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়া হোক।”

ছাত্র রাজনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি। তিনি বলেন, “গত ১১ মাসে এনসিপি ছাড়া অন্য কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসেনি সরকার। আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি, সব ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একটি সংলাপ আয়োজন করা হোক। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।”

- Advertisement -spot_img

More articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ