28.2 C
Khulna
Tuesday, August 5, 2025

স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পণ

পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়ার সন্দেহে প্রভাষক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০)।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চার বছরের শিশু সন্তান সারফারাজকে সঙ্গে নিয়ে বাউফল থানায় হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় খুনের দায় স্বীকার করেন তিনি। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।নিহত সালমা আক্তার (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তুম আলীর মেয়ে। তিনি বাউফলের নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন একই উপজেলার নদমুলা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় চাকরির সুবাদে সালমা আক্তার ও তার স্বামী সরোয়ার হোসেন একমাত্র সন্তানসহ বাউফল উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকালে ওই কলহের জেরে স্বামী সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান সালমা আক্তার।হত্যাকাণ্ডের পর বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে সবকিছু স্বীকার করেন তিনি।

বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, সরোয়ার হোসেন থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করি। আর শিশুটিকেও পুলিশ হেফাজতে নেই।বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার জানিয়েছেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।

- Advertisement -spot_img

More articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ