জোর দিয়ে তিনি বলেন, নারীরা আমাদের বোন, আমাদের মা। সুতরাং তাদেরকে যারা হ্যারেস (উত্ত্যক্ত) করছে তারা একেকজন কালপ্রিট, তারা একেকজন কুলাঙ্গার। তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একইসাথে শিবিরের উপর এভাবে একেকটি পক্ষ ব্লেম দিয়ে আলটিমেটলি কুলাঙ্গারদেরকে দায়মুক্তি দিচ্ছে। এই দায়মুক্তি যারা দিচ্ছে তারা খারাপ কাজ করছে। এই কুলাঙ্গারদের যাতে শাস্তির আওতায় আনা যায় সেজন্য আমরা ‘ডিজিটাল বক্স’ চালুর কথা বলেছি। যেখানে সকলে অভিযোগ দিতে পারবে এবং সকল হয়রানির নিষ্পত্তি হবে।নারীদের আবাসিক সংকটের উপর বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন সাদিকে কায়েম। তিনি বলেন, এটা খুবই অপ্রত্যাশিত যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪ বছর পার করলেও আমাদের বোনদের আবাসিক সংকট এখনো নিরসন করতে পারিনি। তাদেরকে বাইরে মেসে থাকতে হচ্ছে। আমি মনে করি, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ সদিচ্ছার অভাব। তাই আমরা এই সংকট নিরসনে কাজ করতে চাই। আমাদের ছাত্র ভাইদের থেকে ছাত্রী বোনদের সমস্যা অনেক বেশি। তাই তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।সাদিক বলেন, আমাদের ব্যাপারে আরেকটি প্রোপাগান্ডা রয়েছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে। আমরা বলতে চাই, অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছেও আমাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক ভালো। তারা আমাদের সাথে কথা বলছে, আলাপ হচ্ছে। আমি নিজেও ছোটবেলা থেকেই সকল ধর্মের বৈচিত্র্যের মধ্যেই বড় হয়েছি। আমি খাগড়াছড়িতে ছিলাম, সেখানে পাহাড়ি বন্ধু যারা চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা তাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছি, একসাথে স্কুলে গেছি। তাদের উৎসবে আমরা যেতাম, ঈদে তারা আমাদের বাসায় আসতো, তাদের বৈসাবি উৎসবে আমরা তাদের ওখানে যেতাম। বৈচিত্র্যের মধ্যে যে সৌন্দর্য সেটি ছোটবেলা থেকেই আমি দেখে এসেছি৷শিক্ষার্থীরা কেন আপনাদের ভোট দিবে- এমন প্রশ্নের জবাবে এই শিবির নেতা বলেন, জুলাইয়ের সবচেয়ে ক্রুশিয়াল সময়ে আমরা কাজ করেছি। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী এক বছরে আমরা অসংখ্য কাজ করেছি, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাকে মাথায় নিয়ে অনেক কাজ করেছি। এই কাজ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। আমাদের নেতৃত্বের উপর তারা আস্থা রাখতে চায়। এই স্বতঃস্ফূর্ত রেসপন্স, শিক্ষার্থীবান্ধব আমাদের যে চিন্তা এসব তাদেরকে অনেক বেশি আকর্ষিত করছে, তাই তারা আমাদের খুঁজে নেবে বলে আমি আশা করি।আগামীর বিশ্ববিদ্যালয় কেমন দেখতে চান- এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুনভাবে সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা ৬৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষার মান, শিক্ষক মূল্যায়ন, শিক্ষক নিয়োগে মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া, লাইব্রেরির সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে একসাথে কাজ করতে চাই। আমরা এমন আরও অনেকগুলো সমস্যা আইডেন্টিফাই করেছি, এগুলো সব সমাধান সম্ভব, শুধু প্রয়োজন নৈতিক সদিচ্ছা। আমি মনে করি আমাদের সেই সদিচ্ছা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘাটতি তো থাকবেই, কিন্তু আমাদের অনেক অ্যালামনাই আছে তারা এসব কাজে সাহায্য করতে পারে।
শিবির জয়ী হলে ক্যাম্পাসে নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে: সাদিক কায়েম
