প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আবারও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সংগঠনটির সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড সতর্ক করে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী যদি গাজা সিটির অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর হয়, তবে পুরো শহরটি তাদের জন্য “গোরস্থানে” পরিণত হবে।
আল-কাসাম ব্রিগেড হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গাজাকে “ক্ষয়িষ্ণু যুদ্ধের ময়দান” বলে উল্লেখ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের ওপরই গাজায় বন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের ভাগ্য নির্ভর করছে। হামাস জানায়, বন্দিরা গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে আছে, এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তাদের “হত্যার” সিদ্ধান্তে অটল থাকলে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
ইসরায়েলি স্থল অভিযানে ইতোমধ্যে কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। স্থানীয় সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার গাজার উত্তরাঞ্চলে আরও অগ্রসর হয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এ সময় ট্যাংকগুলো গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলের দিকে এগোতে দেখা গেছে। এতে শহরজুড়ে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ৩৩ জনের মরদেহ আল-শিফা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একই দিনে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে সংঘর্ষে চার ইসরায়েলি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জর্ডানের মধ্যবর্তী এক সীমান্ত ক্রসিংয়ে এক জর্ডানি নাগরিকের গুলিতে আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। ট্রাকযোগে সীমান্তে পৌঁছে ওই ব্যক্তি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সেবা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থলেই দুই সেনা মারা যান।