রোম: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতালিতে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ রাজধানী রোমসহ মিলান, বোলোগনা, তুরিন, ফ্লোরেন্স, জেনোয়া ও লিভোর্নোতে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেনোয়া ও লিভোর্নোতে বন্দরকর্মীরা বন্দর টার্মিনাল অবরোধ করেছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লে মন্দে জানিয়েছে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাজার হাজার মানুষ গাজায় ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে। দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন ফরাসি প্রতিবাদ আন্দোলন ‘ব্লক এভরিথিং’-এর স্লোগানকে প্রতিধ্বনিত করে ধর্মঘট ও বন্দর অবরোধের মাধ্যমে দিনব্যাপী বিক্ষোভ আয়োজন করেছে।

রোমে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা এবং প্রতিবাদী ব্যানার বহন করে। মিছিলকারীরা মূলত মেলোনি সরকারের প্রতি ইসরাইলে অস্ত্র রফতানি বন্ধ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

মিলানে কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনের কাছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, চেয়ার ও ইটপাতকেল ছুঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশজুড়ে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে জেনোয়া ও লিভোর্নোর ডক শ্রমিকরা বন্দর অবরোধ করেন। ধর্মঘটের ফলে স্কুল বন্ধ এবং পরিবহন ব্যাহত হয়। এছাড়া জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে ইতালির সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগালসহ বেশ কয়েকটি দেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত কট্টর ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চায় না এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইসরাইলবিরোধী বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করতে অনিচ্ছুক।