হামাসের আংশিক সম্মতি: শান্তির আশাবাদী ট্রাম্প, গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় হামাসের আংশিক সম্মতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন স্থায়ী শান্তির পথে এগোচ্ছে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) হামাসকে প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন ট্রাম্প। তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তাব গ্রহণ না করলে হামাসকে “নরক যন্ত্রণা” ভোগ করতে হবে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস এক বিবৃতিতে জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেয় এবং পরিকল্পনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিয়ে আরও আলোচনার দাবি জানায়।

ট্রাম্প পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “হামাসের সদ্য প্রকাশিত বিবৃতির ভিত্তিতে আমি বিশ্বাস করি, তারা স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত। ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা জিম্মিদের নিরাপদে ও দ্রুত মুক্ত করতে পারি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, চলমান হামলার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

গত সোমবার হোয়াইট হাউস ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অনুমোদন দেন। পরিকল্পনায় প্রস্তাব করা হয়, গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত জিম্মি ফেরত দেওয়া হবে। মৃত জিম্মিদের মরদেহও হস্তান্তর করতে হবে। বিনিময়ে ইসরায়েল শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

ট্রাম্প বলেন, “যেসব বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলাপ চলছে। এটি শুধু গাজা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।”

অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, বন্দিবিনিময়ে তারা সম্মত হলেও গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। সংগঠনটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকার শাসনভার একটি স্বাধীন টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে চায়। এই সরকার ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠিত হবে এবং আরব ও ইসলামি বিশ্বের সমর্থন থাকবে।

👉 চলমান আলোচনার মধ্যেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে শান্তির প্রত্যাশা জাগছে।

  • শেয়ার করুন