শেখ হাসিনার রায় দেখবে বিশ্ব, লাইভ করবে রয়টার্স-বিটিভি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় সোমবার সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুই ট্রাইব্যুনালে চলেছে অন্য মামলার বিচার কাজ। আগামীকাল ঘিরে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই রায় দেওয়া হবে। সোমবার শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ও রয়টার্স। যা দেখবে পুরো বিশ্ব। সেইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজেও এটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। শুধু তাই না, ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় স্ক্রিনে রায় ঘোষণা সম্প্রচার করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশে এর আগে সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো নারীর ফাঁসি কার্যকর হয়নি। তবে এবারও কি নারী হিসেবে অনুকম্পা পাবেন শেখ হাসিনা, সেই প্রশ্ন থাকলেও এমন সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম।শেখ হাসিনার রায়ের পর তার সাজা হলে পরোয়ানা ইন্টারপোলে পাঠানো হবে বলেও জানায় প্রসিকিউশন।

এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন নির্ধারণ করেন।

ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা।গত ২৩ অক্টোবর এ মামলায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ হেভিওয়েট নেতাদের যেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, সেসব বর্ণনা ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন তিনি।

শেখ হাসিনার এ মামলায় ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরেন খোকন চন্দ্র বর্মণ।

গত ৮ অক্টোবর মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপ। এরপর প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয় ২৩ অক্টোবর।

মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো।আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার।

গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

  • শেয়ার করুন