নিহতের পরিবারের দাবি অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের স্বস্তিকোলা এলাকায় কৌশলে ফোনে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আসাদুল ইসলাম বিপুলকে। তিনি শহরের শেখহাটি জামসকল্লা এলাকার বাসিন্দা এবং এসআই গ্রুপের একটি বিভাগের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিপুলের বাবা আক্তার হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের পেছনে বশীর নামের এক ব্যক্তি জড়িত, যিনি বিপুলের বন্ধু ছিলেন। বশীর মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় তার স্ত্রী বিপুলের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বশীর বিপুল ও তার স্ত্রী সুমাইয়াকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে এবং একাধিকবার তাদের বাড়ির সামনে বোমাসদৃশ নাশকতা চালায়। এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আক্তার হোসেন আরও জানান, ঘটনার রাতে বশীর অপর একজনের ফোন ব্যবহার করে বিপুলকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বশীর ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিপুলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শাকিলুল ইসলাম জানান, বিপুলের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত ছিল এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং ইতোমধ্যে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।