প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫
প্রকাশিত:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে মো. রেজাউল করিম নামে এক স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা চাঁদা আদায় এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
ভুক্তভোগী কিটনাশক ব্যবসায়ী মো. রবিউল হাসান অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশে পূর্বের একটি জের মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও পূর্বশত্রুতার জেরে রেজাউল করিম তার কাছে নতুন করে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে একাধিকবার তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। রবিউল দাবি করেন, হুমকির অডিও প্রমাণ তার মোবাইলে সংরক্ষিত আছে।
তার অভিযোগ, ইতোমধ্যে রেজাউল করিম ব্যাংক লেনদেন ও নগদ টাকার মাধ্যমে তিন লাখ টাকা আদায় করেছেন। এর মধ্যে রূপালী ব্যাংক বাউসা শাখা থেকে এক লাখ টাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য আখের মেম্বারের মাধ্যমে উঠিয়েছেন এবং বাকি দুই লাখ নগদ নিয়েছেন। রবিউল আরও বলেন, অভিযুক্ত প্রকাশ্যে তাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন—“এক লাখ পঁচাশি হাজার টাকা দিয়ে পিস্তল কিনেছি শুধু তোর জন্য।”
ভুক্তভোগী জানান, টানা ১৫ দিন ধরে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ভয়ে দোকান খুলতে পারছেন না এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরাও করতে পারছেন না। তার দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল করিম এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও ভাঙচুরসহ নানা অপরাধে জড়িত। একবার গ্রেপ্তার হলেও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার পর আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. রেজাউল করিম সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন, “চাঁদা নিয়েছি, প্রয়োজনে আপনার কাছ থেকেও নেবো।” এসময় তিনি প্রতিবেদকের আর্থিক অবস্থা ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কটূক্তি করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, “আমি বিষয়টি আগে জানতাম না। এখন অবগত হয়েছি, অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে সমাধানের ব্যবস্থা করব।” সাংবাদিকের সঙ্গে অশালীন আচরণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “অবশ্যই এ ঘটনায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি কোনো অন্যায়কারীকে ছাড় দিই না।”
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেজাউল করিমের সঙ্গে জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের কিছু ছবি ঘুরছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, রেজাউলকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ওই নেতার ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন।