ফুটবলে নব্বই দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবল মাঠেও দর্শকদের উচ্ছ্বাস ফের দৃশ্যমান হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে যেভাবে ফুটবলপ্রেমীরা গ্যালারি ভরিয়ে তুলতেন, সেই দৃশ্য যেন আবারও ফিরে আসছে দেশের ফুটবলে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “এক বছরে ফুটবলে আমরা নব্বই দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন গ্যালারি পরিপূর্ণ থাকে দর্শকে, এমনকি অনেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। দর্শকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি—এটাই বড় অর্জন।”

তিনি আরও বলেন, “এক বছর আগে আমরা যেখানে ছিলাম, এখন তার অনেকটা এগিয়েছি। বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ফুটবলে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। জাতীয় দলের ম্যাচগুলোতে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়, টিকিটের জন্য হাহাকার—সবই ইঙ্গিত দেয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা আবারও বাড়ছে।”

তবে দ্রুত সাফল্যের আশা না রাখার আহ্বান জানিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “সাফল্য একদিনে আসে না। উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে সময় লাগবে। যেসব দেশ ভালো ফুটবল খেলে, তারা ১০-১৫-২০ বছর ধরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে এবং খেলোয়াড়দের মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বাংলাদেশকেও সেই পথে এগোতে হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের ফুটবলে এখন উইং থেকে ক্রস দেখা যাচ্ছে, যা আগে সচরাচর দেখা যেত না। এটি প্রমাণ করে আমাদের খেলার মান উন্নত হচ্ছে।”

হামজা, ফাহমিদুল ও শমিত সোমের মতো তরুণ ফুটবলারদের আগমনেই দেশের ফুটবলে নতুন প্রাণ ফিরে এসেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। আর তাতে নব্বইয়ের দশকের ফুটবল উন্মাদনার দিনগুলো যেন আবারও ফিরে আসছে বাংলাদেশের মাঠে।

  • শেয়ার করুন